রান্নার কড়াই এর চেপে খাল পারাপার : জলের তোড়ে ভাঙল মাটির বাঁধ

27th July 2021 10:03 am বাঁকুড়া
রান্নার কড়াই এর চেপে খাল পারাপার : জলের তোড়ে ভাঙল মাটির বাঁধ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  নদীর পারে বাস, চিন্তা বারো মাস। আর চিন্তা নিয়েই দিন কাটে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের পাঁচপাড়া এলাকার মানুষের।

সমৃদ্ধশালী জনপদ হিসেবে পরিচিত গ্রাম পাঁচপাড়া ও চর গোবিন্দপুর। এই দুই গ্রামের দুপাশ দিয়ে বয়ে গেছে দামোদর ও শালী নদী । এই দুই নদীর সংযোগ খালের দুই পারে চরগোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অন্যপারে পাঁচপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । এই দুই শিক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য এলাকার মানুষ নিজেরাই তৈরী করেন মাটির বাঁধ । কিন্তু এক রাতের বৃষ্টিতেই মাটির সেই বাঁধ ধুয়ে মুছে সাফ । ফলে চরম সমস্যায় ছাত্র ছাত্রী থেকে অসংখ্য সাধারণ মানুষ ।

এই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বড় অ্যালুমিনিয়ামের কড়াইয়ে চাপিয়েই ছোটোদের খাল পারাপার করাচ্ছেন পাঁচপাড়া গ্রামের অভিভাবকেরা ।

গ্রামবাসী রবীন মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ হালদার, অঞ্জু মণ্ডলরা বলেন, কৃষি প্রধান এই এলাকা। এখানে উৎপাদিত সব্জী বাজারে বিক্রি করেই মূলতঃ আমাদের সংসার চলে। একরাতের বৃষ্টিতে মাটির বাঁধ ভেঙ্গে পড়ায় যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ বলে তারা জানান।

নারায়ণ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তোতোন মল্লিক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। মূলতঃ অতিবৃষ্টির কারণেই ঐ বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। পঞ্চায়েতের তরফে দ্রুত বাঁধের মেরামতি হবে বলে তিনি জানান ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।